বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

ধানের খড়ের বানানো সাপঃ ছবি ব্লগ

ধান কাটার মৌসুম চলছে আমাদের ওখানে। গ্রাম্য ভাষায় এই সময়ের ধানকে সম্ভবত পারিজা ধান বলে। এই ধানের নাম শুনলে কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়। এই ধান খড় কাঁচা থাকা অবস্থাতেই কাটতে হয়। তাই এই খড় সারাবছর সংরক্ষন করা যায়না, বা পালা দিয়ে রাখা যায়না। তাৎক্ষনিকভাবে গরুকে খাইয়ে দেওয়া হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই খড় দিয়ে সাপ বা বানা ( মাছ ধরার একধরনের জিনিস ) বানায়। যখন ছোট ছিলাম তখন আমিও বানিয়েছি অনেক। এখন পারিনা, ভুলে গেছি। এবার গ্রামে গিয়ে এক পিচ্চির সাথে খেলছিলাম। এটার কথা উঠতেই আমাকে বানিয়ে দেখাল। পটাপট কয়েকটা ছবি তুলে নিয়ে এসেছি। ছবিগুলো কোনরকম এডিটিং ছাড়াই তুলে দিচ্ছি এখানে-

একটি ব্লগ কিংবা ফেইসবুক স্ট্যাটাসের গল্প

১.
সময় খুব দ্রুত বদলায়। আমার এখনও মনে আছে এইতো সেদিন আমি কম্পিউটার ল্যাবের পরীক্ষায় বসে বসে কেঁদেছি। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের উপর পরীক্ষা। কি প্রশ্ন এসেছিল তার সবগুলা মনে করতে না পারলেও কিছু কিছু মনে পড়ে। যেমনঃ বুলেট, নাম্বারিং সংযুক্ত করা; হাইপারলিঙ্ক করা ইত্যাদি। কিচ্ছু পারিনি আমি। পারবোই বা কিভাবে? আগে তো কখনও কম্পিউটারই ছুয়ে দেখিনি, কম্পুটা অন-অফ করতেও জানতাম না। স্যার যখন কি করেছি চেক করতে আসলো, বোকার মতো কাঁদতে আরম্ভ করলাম। আমার কান্না দেখে স্যারও ভড়কে গেলেন। স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার এগুলো শেখা যায় এরকম ভাল কোন বইয়ের নাম বলেন প্লিজ, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো শিখতে। স্যার বললেন এগুলো আসলে বই পড়ে শেখা যায়না, মাঝে মাঝে কম্পিউটার সেন্টারে এসে প্র্যাকটিস করো, তাহলেই হবে।

আজকের সারাটা দিন

বেশ ব্যস্ত দিন কাটলো আজ। স্টুডেন্ট হিসেবে বরাবরই আমি দেওয়ালে পিঠ না ঠেকলে পড়িনা টাইপের।  কাজেই খুব দরকার না হলে পড়াশোনার বেইল নাই আমার কাছে। আজ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা ছিল। ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৭ টায়। মাত্র তিনঘন্টার প্রিপারেশানে পরীক্ষা দিয়ে আসলাম। উল্লেখ্য, পুরা সেমিস্টারে এই সাবজেক্ট মোট তিনদিন পড়েছি- ২ ক্লাশটেস্টের আগে ২ দিন আর আজ মিডটার্ম এক্সামের আগে ৩ ঘন্টা। সে তুলনায় পরীক্ষা বেশ ভালই হয়েছে বলা যায়।

অ্যামিবার বাচ্চা !!!!!

ওসিন আমার স্টুডেন্ট। ক্লাস টেনে পড়ে। স্টুডেন্ট হিসেবে মোটামুটি। আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড মিলে পড়াই ওকে। আমি পড়াই ম্যাথ আর বায়োলজী, ফ্রেন্ড পড়ায় ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি। ওকে পড়াতে যেয়ে মজার মজার অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। আমার স্টুডেন্ট খুব আহ্লাদী। সবকিছু নিয়েই আহ্লাদ করা শুরু করে। তাই বকতে যাব এরকম মুহূর্তেও হাসি চলে আসে।

সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০১০

আজ সকালে দেখা একটি স্বপ্ন এবং অগোছালো চিন্তামালা

গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিলাম প্রায় ৩.৩০  এ। সকালে ক্লাশ ছিলনা বলে উঠতে দেরি করছিলাম। মাঝে ঘুমের নেশা এতই চেপে বসেছিল যে ক্লাশে যেতেও মন চাচ্ছিল না। একটা ক্লাশ বাদ দিয়ে ঘুমালাম। ঘুম থেকে ওঠার আগে একটা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখি।

স্কুলে পড়ার সময় প্রতিদিন আট-আট ষোল কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যেতে হতো আমাকে। এই আট কিলোমিটার দূরত্বের ভেতর রাস্তার পাশে যেসব বাড়ি ছিল তাদের প্রায় সবার সাথেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে গেলে রাস্তায় বিশ্রাম নিতাম, রাখালদের সাথে গল্প করতাম। এভাবে বর্ণীল হয়ে উঠছিল আমার সাইকেল-চালক জীবন। 

শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০১০

ক্লাশমেটের ছেলে আমারে বলে ভাইয়া………….

গত ২৬ মার্চ আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে ছিল। যাবনা যাবনা করেও শেষ পর্যন্ত না যেয়ে থাকতে পারলাম না। সব কাজ শেষ করে যখন বাড়ি ফিরে আসছি তখন রাস্তায় দুটো ছেলে (৮-৯ বছরের) আমার দিকে ছুটে এলো। এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে “ভাইয়া!”
বাচ্চারা এমনিতেই আমার খুব পছন্দের। তাদের দেখলেই খেলতে ইচ্ছা করে। ওদের সাথেও খেলা শুরু করলাম। খেলতে খেলতে জিজ্ঞেস করলাম “কার বাড়িতে এসেছ তোমরা?” উত্তরে পাশের একটা বাড়ি দেখাল।

অ্যাম্বিগ্রাম

অ্যাম্বিগ্রাম হচ্ছে এমন এক ধরণের টাইপোলজী বা আর্ট যাকে এর স্বাভাবিক অবস্থান থেকে দেখলে যেমন মনে হয় উল্টোদিক থেকে (১৮০ ডিগ্রী রোটেটেড) দেখলেও ঠিক একই মনে হয়।

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০০৯

ব্লগারে স্থায়ী হওয়া দরকার

কমিউনিটি ব্লগগুলো আজকাল খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে একেকজনের। কিছু গ্রুপ আছে নাস্তিক-আস্তিক, মডারেশনের পক্ষে-বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধ-এ্যান্টিমুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে। আবার কয়েকজন ব্লগার মিলে ছোট ছোট গ্রুপও তৈরি হচ্ছে। এই গ্রুপের ভেতর আছে ক্লাশমেটদের গ্রুপ, ব্লগাড্ডায় গিয়ে পরিচিত হয়ে উঠার পর গড়ে উঠা গ্রুপ। আমি ভাই আম-জনতার গ্রুপে। দেখা যায় অনেক কষ্ট করে একটা লেখা দিয়ে বসে আছি কমেন্টের আশায়। অথচ কোন কমেন্টই আসছে না। মন খারাপ হয় তখন। আবার অনেক-সময় মাইনাস-প্লাসের ঝামেলা তো আছেই। সো আমার জন্য ব্লগাররের এই ব্লগই ভাল। যখন যা ইচ্ছা লিখব। ইচ্ছা হলে দু-একটা লেখা এখান থেকে কপি করে সামহোয়্যারইন, আমার ব্লগ, প্রথম-আলো ব্লগ কিংবা টেকটিউনসে দিব। ব্যাস। তাহলে কমেন্ট, প্লাস-মাইনাসের চিন্তায় বিভোর থাকতে হবে না। লেখা কেমন হল সে চিন্তাও না। সো এটাই এখন থেকে আমার মূল ব্লগিং প্লাটফর্ম। উইস ইউ গুড লাক রনি।

শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০০৯

স্মৃতিচারন ও আমার ক্ষয়ে যাওয়া ( ১৯ অগাষ্ট ২০০৯ )

আজ মন বেশী ভাল নেই। হঠাৎ করে সার্চ দিলাম ইউটিউবে । নাচোলের দুটি ভিডিও পেলাম। খুব মিস করছি নাচোলকে এই মুহূর্তে। আমার শৈশবের পুরোটাই কেটেছে এই নাচোলে। নাচোল পাইলট হাই স্কুল, স্কুলের ফ্রেন্ডরা, আসদুল্লাহ স্যার সহ অন্যান্য স্যারদের। সবচেয়ে বেশি মিস করছি সাঈদ, কিবরিয়া, শিমুল, শাকিল, উৎপল, মোস্তাফিজুর, তারেকসহ অন্যান্য ক্লাশমেটদের। আমার জীবনের স্বর্গীয় সেই সময়টা স্মৃতি দারুন পীড়া দিচ্ছে।

আমার ভালো লাগছে না এই ইট-কাঠের খাচায়। নিজের ভেতর যা কিছু ছিল সব নষ্ট করে ফেলছি তিলে তিলে।

কলেজ লেভেলটাও খুব খারাপ যায় নি সেই তুলনায়। সবুজের মতো ফ্রেন্ড একাই যথেষ্ট ছিল পরিবেশ মাতিয়ে রাখার জন্য। সেই সাথে শিমুল, শাকিল, উৎপল তো ছিলই। জিল্লুর, জাহিদ, পাপন, ঈমান, মিলন, আপন, তুষার নিঊ গভঃ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহীর শামসুদ্দিন হোস্টেলের সেই “টাল-মাল ব্লক” এর সবাইকে খুব মিস করছি আজ।

সৌভাগ্যটা যেন ছায়ার মত লেগে আছে আমার সাথে। এখানে এসে মিশুক, জিয়া, ইমরানের মত অসাধারণ রুমমেট পেয়েছি। কিন্তু তারপরও যেন মানিয়ে নিতে পারছি না এই লাল-জান্নাতের পরিবেশের সাথে।

আব্বু-আম্মু, প্রেম-ভালোবাসা, সাফল্য-খ্যাতি কোন কিছুর প্রতি কোন মোহ নেই আজ। কোন আকর্ষনই আকৃষ্ট করতে পারে না আমাকে আজ। মনে হচ্ছে জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি আমি।

মাঝে মাঝে চিন্তা করি কেন বেঁচে আছি? কি হবে এসব করে? কোন গ্রহনযোগ্য উত্তর পাই না। কেমন যেন একটা নিস্পৃহ ভাব চলে এসেছে নিজের ভেতর। নিজের প্রতি অবহেলা আর অযত্ন এমন এক পর্যায়ে আজ আমাকে নিয়ে এসেছে যেন দেয়ালে পিঠ থেকে গেছে।

এতদিন কষ্ট করে যা কিছু অর্জন করেছি সবকিছু ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি। সেগুলোর বিনিময়ে কিনে নিচ্ছি কিছুটা নীরবতা। কিন্তু আর কতদিন? আমার পূঁজি তো শেষ।বাকি জীবনটা কাটাবো কি করে?

আমি তো শুধু আমি না…… আমার সাথে জড়িয়ে আছে আব্বু-আম্মু, সাগর, শ্রাবনী সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনের জীবন, যারা আমাকে দিয়েছে অনেক কিছু, এবং নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আমাকে বড় করেছে, ভেবেছে অন্ততঃ একজনকে তো মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলি………।

কিন্তু আমার বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছি আমি! তাদের আশায় গুড়ে-বালি পড়তে খুব বেশি দেরী নেই সম্ভবত। অসহনীয় ব্যাথায় অনবরত নিরবে, নিভৃতে কাঁদছি । নিজের ভেতর অপরাধবোধ কাজ করছে প্রতিনিয়তঃ নিজেকে ধ্বংশ করার অপরাধ, মানুষের স্বপ্ন ভাঙ্গার অপরাধ, প্রতারনার অপরাধ…………।

এই লাল জান্নতকে কেন যেন নিজের করে নিতে পারিনি গত দুই বছরেও।মনে হচ্ছে এটা আমি নই, এটা আমার জগৎ নয়। আমি বেড়াতে এসেছি এখানে, অতিথি হিসেবে দেখছি- তিলে তিলে নিজের ক্ষয়ে যাওয়া। প্রচন্ড কান্নায় নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করছি-

.

“এই তটভূমিহীন প্রবাহমান সংশয়
এই যে অস্থির বিষন্নতা আমার
এর কোন শেষ নেই
বুকের মধ্যে প্রায়ই হাজার সূঁচ ফোটে
মনে হয় পথ ভূলে চলে এসেছি পিপড়েদের দেশে
চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, আমি মানুষ নই
আমার হাতে দাগ নেই
দু’একটি মুহূর্ত বাতাসে তুলো বীজের মতন
দুলতে দুলতে চলে যায় শৈশবের দিকে
বহুকাল চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস
বেরুবার পথ পায় না
কত ঝলমলে উজ্জ্বল সকাল আমার দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়………

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

অনেক কাজ করলাম আজ

বাপরে বাপ! সেই দুপুর থেকে বসেছি, কাজ করছি তো করেই যাচ্ছি। এবার ক্ষ্যান্ত দেওয়া দরকার। পড়তে বসতে হবে। আগামী সপ্তাহে ৩ টা ল্যাব কুইজ, ২ টা কুইজ, ৪ টা এ্যাসাইনমেন্ট আছে। কমপ্লিট করতে হবে। সেই সাথে রুটিন করে পড়তে হবে। অনেক ফাঁকি দিয়েছি, ব্লগ, ওয়েবসাইট নিয়ে অনেক মেতে থেকেছি। এবার না পড়লে মান-সম্মানের ব্যাপার হয়ে যাবে। সো আজ থেকে নো মোর ইন্টারনেট এ্যাডিকশান।

দিনে দুইবার বসব নেটে। একবার সেহেরি খেয়ে, আরেকবার রাত ১১.৩০ এ। রুটিন বানিয়ে ফেলা দরকার।
দেখি চেষ্টা করে।

৫.০০- ঘুম থেকে ওঠা
৫.৩০- নেটে বসা
৭.০০- ক্লাশের পড়া, কুইজের পড়া কমপ্লিট করা
৮.০০- ক্লাশ থাকলে ক্লাশ করা অথবা পড়া
১২.০০-গোসল করা, খাওয়া ( রোজার দিন ছাড়া )
৬.০০- ইফতারি প্রস্তুতি, ঘোরাঘুরি করা, নেটে বসা
৮.০০- মুখ, হাত ধোওয়া, ফ্রেশ হওয়া
৮.৩০- পড়তে বসা
৯.৪৫- খাওয়া
১০.০০- পড়া
১১.৩০- নেটে বসা
১২.০০- ঘুমানো।

লাইফের অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছি। আর সম্ভাবনাকে নষ্ট হতে দেব না। আব্বু, আম্মু, শ্রাবনী তোমাদের আমি আর আমার জন্য কাদতে দেব না। আমি পড়ালেখা করব আজ থেকে। আমি শেষ হয়ে যায় নি দেখিয়ে দেব। আল্লাহ তুমি আমাকে ধৈর্য ধরার শক্তি দাও। ভাল হয়ে যাব। অনেক ভাল, ক্লাশ নাইনের মত ভাল। যে ভূল করেছি তা পূরণ করে দেব ইনশাল্লাহ। আমি আত্মবিশ্বাস হারায় নি। শ্রাবনী, আমি ফুরিয়ে যায় নি। ইনশাল্লাহ আমি সফল হবই।