সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০১০

আজ সকালে দেখা একটি স্বপ্ন এবং অগোছালো চিন্তামালা

গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিলাম প্রায় ৩.৩০  এ। সকালে ক্লাশ ছিলনা বলে উঠতে দেরি করছিলাম। মাঝে ঘুমের নেশা এতই চেপে বসেছিল যে ক্লাশে যেতেও মন চাচ্ছিল না। একটা ক্লাশ বাদ দিয়ে ঘুমালাম। ঘুম থেকে ওঠার আগে একটা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখি।

স্কুলে পড়ার সময় প্রতিদিন আট-আট ষোল কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যেতে হতো আমাকে। এই আট কিলোমিটার দূরত্বের ভেতর রাস্তার পাশে যেসব বাড়ি ছিল তাদের প্রায় সবার সাথেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে গেলে রাস্তায় বিশ্রাম নিতাম, রাখালদের সাথে গল্প করতাম। এভাবে বর্ণীল হয়ে উঠছিল আমার সাইকেল-চালক জীবন। 



বোঝার সুবিধার্থে লোকেশানগুলো চিত্রের সাহায্যে দেখাচ্ছিঃ




আজ স্বপ্নে হঠাৎ আমি ফিরে যায় সেইখানে। সাইকেলের পরিবর্তে স্কুলে যাচ্ছি বিয়ারিং এর গাড়িতে ( ছোট বাচ্চাদের খেলনা টাইপ এক ধরণের গাড়ী ) । হঠাৎ কিভাবে যেন কাজলায় একটা গাড়ি কিনে ফেলি সেইসাথে আমার সাইকেলটাও আছে। কিন্তু এতকিছু নিয়ে ঝামেলা বাধে। কিভাবে বাড়ি নিয়ে আসবো এতগুলো জিনিস বুঝতে পারছিলাম না।

স্থানীয় লোকদের অনুরোধ করি আমাকে এগুলোসহ বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ সাড় দেয় না। শেষ পর্যন্ত এক সবজি-বিক্রেতাকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে এগুলোকে বাড়ি পৌছিয়ে দিতে অনুরোধ করলে তিনি রাজী হন। তার সাথে আলাপ করে জানতে পারি তিনি নাকি এই ধরনের কাজ অনেক করেছেন।

আমরা গাড়ি, সাইকেল, বিয়ারিংয়ের গাড়ীসহ গনইরে পৌছায়। সেখানে এসে লোকটি কি একটা কাজের নাম করে নাচোলের দিকে যায়। আমিও বিয়ারিংয়ের গাড়িটা গাড়ির পাশে রেখে একটু দূরে যায়। হঠাৎ পাশের বাড়ি থেকে একজন এসে আমার বিয়ারিংয়ের গাড়ি নিয়ে দৌড় দেই। আমি তার পেছন পেছন ছুটতে থাকি। তাকে প্রায় ধরে ফেলেছি এমন সময় বিয়ারিংয়ের গাড়িটা সে একটা মাটির দোতলা বাড়ির টিনে ছুড়ে দেই।

আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয়। রাগে বাড়িটার টিনের উপর ওঠার চেষ্টা করি। এমন সময় পাশের বাড়ির আরেকটা ছেলে বলে আমাকে ১০ টাকা দিলে আমি গাড়িটা এনে দিতে পারি। মন তখন আরও গরম হয়ে যায়। তাকে ১০ তাকা ধরিয়ে দিয়ে বলি আর কারও টাকা লাগবে? আরেকজন বলে আমার ২ টাকা লাগবে। ওদের সবাইকে ওদের চাহিদামত টাকা দিয়ে রাগে গরগর করতে করতে বিয়ারিংয়ের গাড়ি না নিয়েই রোডে ফিরে আসি।

রোডে এসে দেখি আমার সাইকেলটাকে চাপা দিয়ে চলে গেছে একটা ট্রাক। সাইকেলের কোন অস্তিত্বই নেই একেবারে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। মনটা আরও খারাপ হয়ে যায়। এমন সময় দেখি সেই সব্জীওয়ালা ফিরে আসছে গাড়ী নিয়ে। আমার কাছাকাছি এসে স্পীড কমালে জিজ্ঞেস করি, "কি অবস্থা? কাজ কতদূর হলো?"

উত্তর আসে, "আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। সেটা করে নিয়ে আসলাম। বাই বাই, টাটা"। গাড়িটা প্রচন্ড স্পীডে ছুটতে থাকে। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানেন কেউ? জানলে এটা একটু ব্যাখ্যা করতে পারবেন, প্লিজ?


COUNTER


Free Hit Counters

2 comments:

শিবলী বলেছেন...

হায় মা....... এত লম্বা.... কোন গল্প পোড়ে ঘুমিয়ে ছিলেন নাকি।

আমি যে রাতে তিন গোয়েন্দা পড়ে ঘুমাই সেরাতে হই কিশোর পাশা, যে রাতে হিমু পড়ি হয়ে যাই হিমু...
একবার ড্রকুলা মুভি দেখে ঘুমিয়েছি দেখি আমি ড্রাকুলা হয়ে গেছি আর আমাদের ক্লাসের একটা মেয়ের রক্ত খাচ্ছি....

রনি পারভেজ বলেছেন...

না রে ভাই। এমনিই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন